ফুলকপির গোড়া পঁচা রোগ

  • রোগের নামঃ

    ফুলকপির গোড়া পঁচা রোগ

  • লক্ষণঃ

    আক্রান্ত চারার গোড়ার চারদিকে পানিভেজা দাগ দেখা যায় । গোড়ায় সাদা ছত্রাকজালি ও অনেক সময় সরিষার মত ছত্রাকের অনুবীজ পাওয়া যায় । শিকড় পচে যায়, চারা নেতিয়ে পড়ে গাছ মারা যায় । স্যাতস্যাতে মাটি ও মাটির উপরিভাগ শক্ত হলে রোগের প্রকোপ বাড়ে । রোগটি মাটিবাহিত বিধায় মাটি, আক্রান্ত চারা ও পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে ।

  • ব্যবস্থাপনাঃ

    ১। পরিমিত সেচ ও পর্যাপ্ত জৈব সার প্রদান করা ও পানি নিস্কাশনের ভাল ব্যবস্থা রাখা। ২। সরিষার খৈল ৩০০ কেজি/ হেঃ হারে জমিতে প্রয়োগ করা। ৩। প্রতি লিটার পানিতে ইপ্রোডিয়ন বা কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: রোভরাল ২ গ্রাম বা ব্যাভিস্টিন ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করে মাটিসহ ভিজিয়ে দেয়া। ৪। বীজতলায় হেঃ প্রতি ২.০ টন ট্রাইকো-কম্পোস্ট ব্যবহার করা ।

  • সাবধানতাঃ

    ১। একই জমিতে বার বার কপি জাতীয় ফসল চাষ করবেন না। ২। দিনের বেশির ভাগ সময় ছায়া পড়ে এমন জমিতে কপি জাতীয় ফসল চাষ করবেন না।

  • করনীয়ঃ

    ১। বপনের আগে প্রতি কেজি বীজে ২-৩ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে বীজ শোধন করে নিন। ২। লাল মাটি বা অম্লীয় মাটির ক্ষেত্রে শতাংশ প্রতি চার কেজি হারে ডলোচুন প্রয়োগ করুন (প্রতি তিন বছরে একবার)। ৩। বীজ বপনের আগে বীজতলায় বা ক্ষেতে শুকনো কাঠের গুড়া ৩ ইঞ্চি পুরু করে বিছিয়ে পোড়ানো। ৪। মাটি সোলারাইজেশন করা- রোদের সময় মাটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা।

ফুলকপির গোড়া পঁচা রোগ
ফুলকপির গোড়া পঁচা রোগ